মহেশখালীতে কলার সঙ্গে বিষ মিশিয়ে অর্ধশতাধিক বানরকে হত্যা করা হয়েছে লাউ ক্ষেতে।


ফরিদুল আলম রনি
 বিনষ্টের অযুহাতে এ বানরগুলোকে হত্যা করা হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় উপজেলার বড়মহেশখালীর মৌজার ভারিতিল্যা ঘোনা পাহাড়ে এ ঘটনা ঘটে। সেখানে একটি লাউ ক্ষেতের পাশে বানরগুলোকে মৃত পড়ে থাকতে দেখা যায়। এছাড়া কয়েকটি বানরকে গাছে ঝুঁলন্ত অবস্থায়ও দেখা যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পাহাড়ি জমিতে কাজ করতে যাওয়ার সময় লাউ ক্ষেতের পাশে বানরগুলোকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। বানরগুলো প্রায় সময় লাউ ক্ষেতে নেমে ক্ষেত বিনষ্ট করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ক্ষেতের মালিক দিনের কোন এক সময় বিষ মিশ্রত কলা রেখে যায়। বানরগুলো ওই কলা খেয়ে মারা যায়।

জানা গেছে, ওই লাউ ক্ষেতের মালিক ওই উপজেলার দেবাঙ্গা পাড়া গ্রামের জনৈক মোজাফ্ফার মাস্টারের ছেলে।

বনবিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে পাহাড়ে বন্য প্রাণীদের আবাসস্থল হুমকিতে পড়ছে। সবার অগোচরে পাহাড়ী এলাকায় এভাবেই নির্বিচারে বন্যপ্রার্থী হত্যাযজ্ঞ চলছে। তবে বরাবরই বনবিভাগ এ ব্যাপারে উদাসীন রয়েছে বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা।

এদিকে পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রীন এনভায়রনমেন্ট মুভম্যান্টের মহেশখালী উপজেলার সভাপতি দিনুর আলম জানান, বন্যপ্রাণী হত্যা আইনগত অপরাধ। এতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হোক।

এ বিষয়ে জানতে মহেশখালী রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. সাদেকুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মিটিংয়ে আছেন, পরে ফোন দিবেন বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

অপরদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহফুজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন না ধরায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

Comments

Popular posts from this blog

জন্মদিনের শুভেচ্ছায় ভাসছেন বঙ্গ টিভির কর্ণধার ও সমাজসেবক রাসেল মিয়া হৃদয়।

মিজান সিটিতে দেহব্যবসার তথ্য সংগ্রহে বাঁধা, থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের।

নাঙ্গলকোটে যুদ্ধাপরাধীর সন্তান স্বাধীনতা দিবসে অতিথি, এলাকায় তুলকালাম!