মাহমুদা মেরাজের আপ্লূত স্ট্যাটাস
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়নের ২৯ নং কান্দিগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদা মেরাজের ১৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া একটি স্ট্যাটাস জনগনের নজর কেড়েছে।
তিনি তার দেওয়া স্ট্যাটাসে লিখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ। আজ (৪ অক্টোবর সোমবার) আমার চাকরির ১৬ বছর পূর্ণ হলো। ২০০৫ সালের ০৪ অক্টোবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সরাসরি পদে যোগদান করেছি আমি। এরপর (দূর থেকে কাছে) অনেক বিদ্যালয়ে কাজ করেছি। এর মাঝে কতটুকু সফলতা বিফলতা তা অজানা। তবে সব সময় নিজের সেরাটা দিতে চেয়েছি। হয়তো কোথাও কোথাও কখনোবা বিভিন্ন প্রতিকূলতার জন্য সেটা উপস্থাপন, প্রদর্শন করতে পারিনি। সবসময় সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি প্রশাসনের সকল নির্দেশনা যথাসময়ে বাস্তবায়ন করার।সেক্ষেত্রে হয়তো সহকারি শিক্ষকদের অনেকটাই নিয়মের ভেতর রাখার চেষ্টা করেছি। যদিও তারা কাজের চাপে নিজেদের কখনো কখনো বোরিং মনে করেছে,তবে কাজ শেষে নিজেদের আবার যথাযথ দায়িত্ব পালনের স্বচ্ছতায় তৃপ্তির সুখও খোঁজে পেয়েছে। তাদের কর্মতৎপরতায় আর আন্তরিক সহযোগিতায় বিদ্যালয়ের সকল সফলতার জন্য আমি তাদের প্রতি সবসময় কৃতজ্ঞ। আর বিফলতার সবটুকু ব্যর্থতা মনে করি শুধুমাত্র আমার। সেজন্য আমি দুঃখিত।আসলে সহকারি আর প্রধান শিক্ষকের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলেই একটি বিদ্যালয়ের মূল-ভিত্তিটি মজবুত থাকে।এর মাঝে একটু বৈষম্য, একটু অলসতা, একটু দায়িত্বজ্ঞানহীনতা, একটু স্বার্থপরতা, একটু সন্দেহপ্রবণতা, অসম্মান আর সবটুকু সততার ঘাটতি উপস্থিত হলেই বিদ্যালয় উন্নয়নের প্রথম সোপান তৈরির উপাদানের মিশ্রণটাই যেনো ভেজাল হয়ে পরে।আর উন্নয়নের অব্যাহত ধারায় এ যাবত বিভিন্ন (এস,এম,সি'র সভাপতিসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ) কমিটির আন্তরিক সহযোগিতা যথেষ্ট পেয়েছি। তাদের প্রতিও আমি কৃতজ্ঞ। একটি বিদ্যালয়ের উন্নয়নের বড় সহযোগিতা হচ্ছে কমিটির আন্তরিক সহযোগিতা। কর্তৃত্ব বা খবরদারি তাদের দায়িত্ব নয়। উপদেশ,পরামর্শ আর আন্তরিক সহযোগিতা করাই হলো তাদের দায়িত্ব। কোথাও কোথাও ক্ষেত্রবিশেষে এর ব্যত্যয় ঘটে থাকলে আসলেই দুঃখজনক। পরিশেষে আর একটি কথা বলার আগে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। সহকারি শিক্ষক থেকে পদোন্নতিতে প্রধান শিক্ষক হওয়ার আগেই নিজেকে বদলান, হওয়ার পরে নয়। "আর" প্রধান শিক্ষকগণ এ পদে থেকে নিজেকে খুব ক্ষমতাশীল মনে না করি। যেনো না ভাবি সহকারি শিক্ষক আমাদের ব্যক্তিগত গোলাম। আর সহকারি শিক্ষকদের মাঝে পক্ষপাতিত্ব না করি। শেষে এ বাক্যটি বলার মূল উদ্দেশ্য সকলকে নয়। ক্ষেত্র বিশেষে। তবু্ও ক্ষমা চাচ্ছি।আর দোয়া চাই যেনো বাকি সময়টা সম্পূর্ণভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হয়ে, সু্স্থ থেকে পরিবার, বিদ্যালয় ও সকল ক্ষেত্রে সেবা দিতে পারি। আল্লাহ তায়ালা যেনো আমাকে সে তৌফিক দান করেন। অবশেষে (এ পর্যন্ত) আমার সকল উর্ধতন কর্মকর্তাদের প্রতি আমি আন্তরিক সহযোগিতা পাওয়ার জন্য চিরকৃতজ্ঞ ও অফুরন্ত ভালোবাসা রইলো।শুভকামনা নিরবধি...।
Comments
Post a Comment