সিরাজগঞ্জে ভোগান্তির আরেক নাম ‘নলকা সেতু’


জি,এম স্বপ্না,সিরাজগঞ্জ

বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের জরাজীর্ণ 'নলকা সেতু' সহ সেতুর পশ্চিম পার্শ্বে অসংখ্য খানাখন্দে মহাসড়কে গাড়ি চলাচল ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে পড়েছে। আর ঝুঁকিপুর্ণ এই সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে মহাসড়কে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। গত একমাস ধরে যাত্রাপথে পোহাতে হচ্ছে এমন ভোগান্তি। একটু বৃষ্টি হলেই ভোগান্তি আরও বেড়ে যায়। কখনও ধীরগতি, কখনও থেমেথেমে,আবার কখনও দীর্ঘস্থায়ী জানজট লেগে থাকায় ঘন্টার পর ঘন্টা যাত্রী সাধারন,বিশেষ করে মহিলা ও শিশুদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। 
ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীদের দুর্ভোগ যেন তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। আজ মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) বিকেল ৫ টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাটিকুমরুল-বনপাড়া রোডের রামার চর হতে নলকা সেতু আর কড্ডা কোনাবাড়ি হতে নলকা পর্যন্ত যানবাহনের দীর্ঘ লাইন। নলকা সেতুর পশ্চিম পাশে সৃষ্ট ছোট-বড়  আকারের গর্ত। আর সেতুর উপরের অংশের কার্পেটিং সমস্যাই যানজটের মুল কারণ। সেতুর জয়েন্ট গুলোও হয়ে পড়েছে নড়বড়ে। সেতুর উভয় পাশে অন্তত ৪০-৫০  মিটার দুর থেকেই গাড়ির গতি কমিয়ে দিতে হচ্ছে। এ কারনে সেতুর উভয় পাশে প্রায় দিনই জ্যামে শত শত যানবাহন আটকে থাকে। প্রতিদিন এ যানজট নিরসনে হাটিকুমরুল হাইওয়ে পুলিশের দায়িত্বের কোন অবহেলা নেই। 
চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাট এলাকার ট্রাক ড্রাইভার মিজান জানান, নলকা সেতু ও সেতুর পশ্চিমে সামান্য সড়ক সংস্কার না করায় ঢাকা ও উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন গুলোকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। যার কারনে সেতুর উভয় পার্শ্বের বিশাল এলাকা জুড়ে যানজট লেগেই থাকে।  বাস চালক, হেলপার ও যাত্রী সাধারন বলেন, হাটিকুমরুল গোলচত্বর মহাসড়ক এলাকায় ঢুকলেই গাড়ি জ্যামের আতঙ্ক শুরু হয়। শুরু হয় অপেক্ষার পালা আর ভোগান্তি। তাই তো সবাই বলে ভোগান্তির আরেক নাম 'নলকা সেতু'। স্থানীয় জনগন ও সড়ক  জনপথ বিভাগ সুত্রে জানা যায় , ১৯৮৮ সালে সিরাজগঞ্জ-বগুড়া আঞ্চলিক সড়কে ফুলজোড় নদীর ওপর নলকা সেতুটি নির্মান করা হয়। ১৯৯৮ সালে এ সেতুটি আঞ্চলিক মহাসড়কে পরিনত হলেও এ সেতুটির কোন পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করা হয়নি। ১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু উদ্ধোধনের পর থেকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২২ টি জেলার যানবাহন চলাচল করছে এ সেতুর উপর দিয়েই। ফলে সেতুটি একেবারেই  ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে পুলিশের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ( টিআই)  রফিকুল ইসলাম জানান, নলকা সেতুর দু'পাশে ছোট,বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। সেতুর উপরের কার্পের্টিও উঠে গেছে। যার ফলে সেতুর উপর দিয়ে  গাড়ি চলাচলে গতি সীমা কম রাখতে গিয়ে মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। সে কারনে অনেক সময় মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
হাইওয়ে পুলিশের (বগুড়া অঞ্চল) পুলিশ সুপার মুনশী শাহাবুদ্দিন বলেন, সেতুটি ঝুকিপুর্ণ হওয়ায় একটি লেগে গাড়ি ছাড়তে হয় । আর সেতুর উভয় পাশে রাস্তা খানাখন্দ হওয়ায় গাড়িগুলো ধীরগতিতে চলায় অনেক সময় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।তাই তিনি সেতু ও সেতুর পাশের রাস্তার সংস্কারের দাবি জানান। 
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, সেতুর পশ্চিম পাশে বেশ কিছু ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এগুলো তুলে কার্পের্টি করতে হবে। বৃষ্টির কারনে এ কাজগুলো করতে সমস্যা হচ্ছে । আবহাওয়া ভাল হলে দ্রুত কার্পের্টিং এর কাজ করা হবে।

Comments

Popular posts from this blog

জন্মদিনের শুভেচ্ছায় ভাসছেন বঙ্গ টিভির কর্ণধার ও সমাজসেবক রাসেল মিয়া হৃদয়।

মিজান সিটিতে দেহব্যবসার তথ্য সংগ্রহে বাঁধা, থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের।

নাঙ্গলকোটে যুদ্ধাপরাধীর সন্তান স্বাধীনতা দিবসে অতিথি, এলাকায় তুলকালাম!