জলঢাকায় মুক্তিযোদ্ধার সম্মানী ভাতা নিয়ে ভাইয়ের সংবাদ সম্মেলন
জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর জলঢাকায় শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ধীরেন্দ্র নাথ রায়ের সম্মানী ভাতা তার সৎ মা অবৈধভাবে উত্তোলনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার ছোটভাই শিবেন্দ্র নাথ রায়।
শনিবার বিকালে উপজেলার বালাগ্রাম ইউনিয়ের ৯ নং ওয়ার্ড মহন্থেরডাঙ্গা এলাকার নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ধীরেন্দ্র নাথ রাযের ছোট ভাই শিবেন্দ্র নাথ রায়।
সংবাদ সন্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব খয়রাত হোসেন, শিবেন্দ্র নাথ রায়ের স্ত্রী,পুত্র,নাতী,নাতনী প্রমুখ।
সংবাদ সন্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন
আমার আপন বড়ভাই শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ধীরেন্দ্র নাথ রায়, তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশ মাতৃকার টানে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং যুদ্ধ চলাকালীন সময় তিনি লালমনিরহাট জেলার হাজীগঞ্জে শহীদ হন।
দেশ স্বাধীনের পর বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাষ্টের মাধ্যমে দেশের সকল জীবিত এবং মৃত ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা প্রদান করছেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা বিতরণ গেজেটে বলা হয়েছে
বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী সন্তান ও পিতা মাতার অবর্তমানে তার জীবিত ভাইবোনরা সম্মানী ভাতা প্রাপ্য হইবেন। তবে কোনও বৈমাত্রেয় ভাইবোন এই সম্মানী ভাতা প্রাপ্য হইবেনা।
সেক্ষেত্র আমার বড়ভাই ধীরেন্দ্র নাথ রায় অবিবাহিত হওয়ায় তার আর কোন উত্তরাধিকার না থাকায় আমি তার আপন ছোটভাই হিসাবে ও একমাত্র ওয়ারিশ সুত্রে সন্মানি ভাতা পাওয়ার কথা থাকলেও নিয়ম বহির্ভূতভাবে আমাকে বঞ্চিত করে বর্তমানে সম্মানী ভাতা উত্তোলন করছেন আমাদের সৎ মা তরুবালা। তিনি গর্ভধারিণী মা না হয়েও কিভাবে এই ভাতা পান এটাই আমার প্রশ্ন?
আমার ভাইয়ের সন্মানি ভাতা বাংলাদেশ মুক্তি যোদ্ধা কল্যান ট্রাষ্টের আইন অনুয়ায়ী আমিই এই ভাতা পাওয়ার দাবীদার তাই আপনাদের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের কাছে সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এ সন্মানি ভাতা আইনগতভাবে পাওয়ার জন্য আমি সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিলে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) তদন্ত করে সাক্ষ্য প্রমাণ সহ একাধিক প্রতিবেদন প্রেরন করা সত্বেও এখন পর্যন্ত কোন প্রতিকার পাইনি। তাই এই সংবাদ সন্মেলনে আপনাদের মাধ্যমে আমি সরকারের কাছে এর প্রতিকার চাই।
Comments
Post a Comment